Thursday, March 28th, 2024

আগ্রহ বেশি নতুন ও বাজে কোম্পানির শেয়ারের প্রতি

শেয়ারবাজারে গত সপ্তাহটি ছিল নতুন তালিকাভুক্ত ও দুর্বল মানের কোম্পানির দাপট। এ কারণে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে নতুন তালিকাভুক্ত এন শ্রেণির কোম্পানিগুলোর লেনদেন বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এরপর লেনদেন বৃদ্ধিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে ছিল দুর্বল মানের জেড শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলো।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে এন শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৮ শতাংশ বা ৭৯ কোটি টাকা বেড়েছে। আর দুর্বল বা নিম্নমানের জেড শ্রেণিভুক্ত কোম্পানির লেনদেন বেড়েছে সাড়ে ১৯ কোটি টাকা বা ৪৬ শতাংশ। তার বিপরীতে মৌলভিত্তির এ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় সোয়া ২ শতাংশ কমে গেছে। অর্থাৎ গত সপ্তাহে মৌল ভিত্তির কোম্পানির চেয়ে নতুন তালিকাভুক্ত ও দুর্বল মানের কোম্পানির প্রতিই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সিরডাপের পরিচালক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমরা দেখছি, বাজার যখন একটু ধীরগতি থাকে, তখন জাঙ্ক শেয়ার বা স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়ে যায়। কারণ, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়, বাজারে মন্দাভাব থাকলে তখন ভালো কোম্পানি বা বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। এ কারণে ভালো শেয়ার ছেড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা স্বল্প মূলধনি কোম্পানির প্রতি ঝোঁকেন। বিনিয়োগকারীদের এ প্রবণতা কোনোভাবেই বাজারের জন্য ভালো কিছু নয়। বরং বাজার খারাপ থাকলে তখন ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি কম থাকে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহ শেষে এন শ্রেণিভুক্ত ১২ কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৪০ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭৯ কোটি টাকা বেশি। আর দুর্বল মানের জেড শ্রেণির ৩০ কোম্পানির লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৪২ কোটি টাকা। এ ছাড়া বি শ্রেণিভুক্ত ৫৭ কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৫৭ কোটি টাকা বেশি। আর ভালো মানের এ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭৯ কোটি টাকা কম।