Home স্বাস্থ্য শীতকালে মধুর উপকারিতা

শীতকালে মধুর উপকারিতা

17
0

প্রকৃতিতে শীতের আমেজ চলে এসেছে। এ সময় সব বয়সের মানুষ ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন। তবে বেশি ভোগেন শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। তাই শীতকালে অনেকেই মধু খেতে ভালোবাসেন। উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ বিবেচনা করলে মধু প্রথমেই থাকবে।

১০০ গ্রাম মধুতে ৩০৪ ক্যালরি, ৮২ গ্রাম সুগার, যার মধ্যে রয়েছে সুক্রোজ, ফ্রুকটোজ, গ্লুকোজ, মাল্টোজ, ০.২ গ্রাম আঁশ, প্রোটিন ০.৩ গ্রাম, পটাশিয়াম ৫২ মিলিগ্রাম এবং ৪ মিলিগ্রাম সোডিয়াম রয়েছে। মূলত মধুতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (ফ্ল্যাভনয়েড ও অর্গানিক অ্যাসিড) রয়েছে। মধুতে প্রায় ২ শতাংশ আয়রন থাকে।

মধু প্রাকৃতিকভাবেই ব্যথানাশক ও রোগজীবাণু প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। শীতকালে বেশির ভাগ মানুষ সর্দিকাশিসহ শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যায় ভোগেন। গলাব্যথা, খুসখুসে কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ ঋতু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় মধু খুব ভালো সমাধান দিয়ে থাকে।

– রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে মধুর জুড়ি নেই। রোজ সকালে ১ টেবিল চামচ মধু ২ টেবিল চামচ লেবুর রস এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে।
– শ্লেষ্মাজনিত কাশি বা কফের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত তুলসীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে জমাট বাঁধা কফ পরিষ্কার হয়ে যায়।
– খুসখুসে কাশির সমস্যায় আদাকুচি পানিতে ফুটিয়ে রস তৈরি করে তার সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধু মিশিয়ে খেলে তা অনেকটাই কমে যাবে।
– হঠাৎ করে তাপমাত্রার অস্থিতিশীলতার কারণে শীতের শুরুতে অনেকেরই গলা বসে যায়, গলাব্যথা হয়। দিনে দুবার বিভিন্ন মসলা (আদা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, গোলমরিচ) পানিতে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেলে গলাব্যথা সেরে যায়।
– শীতকালে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। নিয়মিত রং চায়ের সঙ্গে কিংবা কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।