চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং কুষ্টিয়ার চালের মোকামে ধান-চালের মজুত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। কোনো অসংগতি পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী।
মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় তিন সদস্যের একটি দল খাজানগর এলাকায় বেশ কয়েকটি গুদামে সরেজমিন খোঁজখবর নেয়। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ ওই দলে জেলা বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা ও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা ছিলেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্র বলছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর এলাকায় অবস্থিত। সেখানে প্রায় ৫২টি অটো রাইস মিলসহ অন্তত পাঁচ শ মিল আছে। এসব মিল থেকে উৎপাদিত চাল দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ চালের চাহিদা পূরণ করে থাকে। এক মাস ধরে এই এলাকায় কয়েক দফা চালের দাম বাড়ানো হয়েছে, যা কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৮ টাকা বেড়েছে। এক সপ্তাহ ধরে মিলারদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ জন্য খাদ্য বিভাগের পাঁচটি দল কাজ করছে। প্রতিটি দলে তিনজন করে সদস্য আছেন। তাঁরা এলাকাভিত্তিক মিলে প্রতিদিন ধান কেনা ও চাল উৎপাদনসহ চাল সরবরাহের তথ্য সংগ্রহ করছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। যাতে দেখা গেছে, ২৭ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত চার দিনে এক টাকা বাড়ানো হয়েছে, যা প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ পয়সা করে। এই সময়ে ধান বেশি দামে কেনা হয়েছিল কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।