উত্তর: দাঁতের প্রতি সদয় হোন। খাবার চিবানো আর কামড়ে খাওয়ার জন্যই দাঁত। অতিরিক্ত শক্ত খাবার, শক্ত হাড় বেশি কামড়াবেন না। এতে দাঁতের বাইরের আবরণ বা এনামেল নষ্ট হতে পারে, দাঁতে সূক্ষ্ম ফাটল দেখা দিতে পারে। অ্যালকোহলমুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন। দাঁতের পরীক্ষায় ফাঁকি দেবেন না। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে দাঁতের সুরক্ষা নিশ্চিত হতে পারে।
উত্তর: প্রথম কথা হচ্ছে টুথব্রাশ বাছাই করা। ভালো মানের টুথব্রাশ ব্যবহার করুন, যার শলাকাগুলো বেশি শক্ত বা বেশি নরম নয়। ছোটদের জন্য ছোট আকারের ব্রাশ দরকার, যা ওদের মুখে সহজে আঁটে। পরিমিত মাত্রায় পেস্ট নিয়ে সকালে নাশতার পরে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করুন। সম্ভব হলে ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
শিশুদের জন্য কম ঝাঁজালো টুথপেস্ট বেছে নিন। ব্রাশের শলাকাগুলো দাঁতের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোনাকুনিভাবে ধরে ওপর পাটির দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের পাটির দাঁত নিচ থেকে ওপরে ব্রাশ করুন। দাঁতের ভেতরে ও বাইরের অংশে সমান সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। তাড়াহুড়ো করবেন না। কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ব্রাশ করুন। তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। দীর্ঘদিন ব্যবহারে ব্রাশের শলাকাগুলো বাঁকা হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করতে হবে।
উত্তর: শিশুদের জন্য ভালো মানের ফিঙ্গার ব্রাশ পাওয়া যায়। এগুলো দিয়েও শিশুর মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করা যেতে পারে। শিশুরা ব্রাশ করার ক্ষেত্রে পেস্ট ব্যবহার করতে পারবে। কখনো বড়দের টুথপেস্ট দিয়ে শিশুদের দাঁত ব্রাশ করানো যাবে না। শিশুদের দুধদাঁত পড়ে স্থায়ী দাঁত ওঠে। অনেক ক্ষেত্রে শিশুদের দুধদাঁত কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত (ক্ষয়) হলে ফেলে দিতে বলেন অভিভাবকেরা। এটি করা যাবে না। প্রতিটি দাঁত ওঠার এবং পড়ে যাওয়ার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। তার আগে দুধদাঁত ফেলা হলে স্থায়ী দাঁত উঠলে আঁকাবাঁকা হবে। বরং দাঁত ক্ষয় হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।