Friday, March 29th, 2024

ছবিতে কত্থক নৃত্যসন্ধ্যা

আজ শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় কত্থক নৃত্যসন্ধ্যা ও নৃত্য কর্মশালা। কত্থক নৃত্যসন্ধ্যায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুমিতা রায়সহ নৃত্যাঞ্চলের তিন শতাধিক কত্থক নৃত্যশিল্পী অংশগ্রহণ করেন।

১৯ ফেব্রুয়ারি মধুমিতা রায়ের পরিচালনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছিল পাঁচ দিনব্যাপী কত্থক নৃত্যের কর্মশালা। এই কর্মশালায় অংশ নেন সারা দেশের প্রায় ২০০ কত্থক নৃত্যশিল্পী। কর্মশালা শেষে এবার হতে যাচ্ছে কত্থক নৃত্যসন্ধ্যা

শিবলী মহম্মদ জানান, আজকের এই কত্থক সন্ধ্যা নিবেদন করা হয়েছে উপমহাদেশের প্রবাদপ্রতিম নৃত্যব্যক্তিত্ব পণ্ডিত বিরজু মহারাজের নামে। কত্থক নাচের এই কিংবদন্তি নৃত্যসাধকের কাছে শিবলী মহম্মদ নাচের দীক্ষা নেন

শামীম আরা নীপা জানান, ‘নৃত্যাঞ্চল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের অপূর্ণতাকে পূর্ণ করতে, জানতে, শিখতে ও শেখাতে। তারই ধারাবাহিকতায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে যতটুকু সম্ভব, আমরা কর্মশালার আয়োজন করেছি

কত্থক নৃত্য কর্মশালা ও কত্থক নৃত্য সন্ধ্যা

শামীম আরা নীপা আরও জানান, ‘আমরা পশ্চিমা বেলে, কত্থক, ওডিশি, গৌরীয়, ছৌ, ব্রতচারী, লোক, সৃজনশীলসহ নানা ধরনের কর্মশালার আয়োজন করে আসছি। নৃত্যাঞ্চলের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল, কিংবদন্তি নৃত্যগুরু পণ্ডিত বিরজু মহারাজকে ঢাকায় নিয়ে এসে একটা কর্মশালার আয়োজন করা। সবার আন্তরিক চেষ্টা ও সহযোগিতায় ২০১২ সালে প্রায় সাড়ে তিন শ শিক্ষার্থী নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছিলাম, যা ছিল নৃত্যাঞ্চলের জন্য মহা একটি উৎসব

বিরজু মহারাজ প্রয়াত হয়েছেন। কিন্তু পৃথিবীতে রেখে গেছেন অনেক শিক্ষার্থী, যাঁরা তাঁর ধারাটি বহন করে চলবেন যুগের পর যুগ। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নৃত্যাঞ্চলের নৈবেদ্য আজকের আয়োজন কত্থকসন্ধ্যা, জানালেন শামীম আরা নীপা